আজ সকালে গুরগাঁও-এর Sector 57 এলাকার সুশান্ত লোক ফেজ 2-এ এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে গেল। Radhika Yadav, একজন জাতীয় পর্যায়ের tennis player, নিজ বাড়িতেই তাঁর বাবা Deepak Yadav-এর গুলিতে প্রাণ হারালেন।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, Deepak Yadav নিজের মেয়েকে পাঁচটি গুলি করেন, যার মধ্যে তিনটি সরাসরি লাগে Radhika Yadav-এর শরীরে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় Asia Maringo Hospital-এ, কিন্তু তখনই তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
কে ছিলেন Radhika Yadav?
মাত্র ২৫ বছর বয়সী Radhika Yadav একজন প্রতিভাবান tennis খেলোয়াড় ছিলেন। shoulder injury-র পর খেলা ছেড়ে নিজেই খুলেছিলেন একটি tennis academy, যা দারুণ সফলতা অর্জন করছিল। অনেক তরুণ খেলোয়াড় তাঁর academy-র মাধ্যমে প্রশিক্ষণ পাচ্ছিল।
বাবার রাগ ও ‘সম্মান’ সংক্রান্ত সমস্যা
পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী, Deepak Yadav এই academy নিয়ে বহুদিন ধরে বিরক্ত ছিলেন। তাঁর দাবি, তিনি যখন নিজের গ্রাম Wazirabad যান, তখন মানুষ তাঁকে বলেন তিনি মেয়ের income-এ বাঁচেন। এই কথা শুনে তাঁর “পুরুষ সত্ত্বা ও সম্মানে” আঘাত লাগে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, Deepak Yadav বারবার Radhika Yadav-কে academy বন্ধ করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু Radhika Yadav সেই প্রস্তাবে রাজি হননি। এরই মধ্যে আজ সকাল ১০টা নাগাদ তিনি নিজের লাইসেন্সপ্রাপ্ত .32 bore revolver দিয়ে মেয়েকে গুলি করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং পুলিশি তদন্ত
অভিযুক্তের ভাই, যিনি একই বাড়ির নিচতলায় থাকেন, পুলিশের কাছে বলেন, “আমি একটা বড় আওয়াজ শুনি। দোতলায় উঠে দেখি Radhika Yadav রান্নাঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। drawing room-এ revolver পড়ে ছিল। আমি ও আমার ছেলে ওঁকে নিয়ে হাসপাতালে যাই।”
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে Deepak Yadav-কে গ্রেফতার করে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করে। তিনি পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। অস্ত্রটি জব্দ করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর প্রতিক্রিয়া
সুশান্ত লোকের প্রতিবেশীরা বলছেন, Radhika Yadav ছিলেন এলাকার গর্ব। অনেকেই বলছেন, “ওর মতো মেয়ে কম দেখা যায় – খেলোয়াড়, উদ্যোক্তা, আর সম্মানীয়। নিজের পরিবারের হাতেই জীবন হারাবে, সেটা মেনে নেওয়া যায় না।”
বিষয়টি এখন তদন্তাধীন
পুলিশ এখন পুরো বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখছে—হত্যার পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা, বা আগাম কোনো পরিকল্পনা ছিল কিনা। তবে এতটুকু নিশ্চিত, Radhika Yadav-এর মৃত্যু শুধু একটি পারিবারিক হিংসার নয়, বরং সমাজের মানসিকতার দৃষ্টান্ত।